প্রথমার্ধে দারুণ সব প্রচেষ্টার পর, দ্বিতীয়ার্ধে এ কী হলো ডর্টমুন্ডের। ভাগ্যকে হয়তো দুষতে পারে বরুশিয়া। অবশ্য প্রতিপক্ষ যখন রিয়াল মাদ্রিদ, তখন এমনটা হলে অবাক হওয়ার তেমন কিছু নেই। চ্যাম্পিয়নস লিগের রিয়ালকে নিয়ে নতুন করে বলার কিছু। 

চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে রেকর্ড ১৫তম শিরোপার পথে ডর্টমুন্ড তাদের সামনে তেমন কোনো বাধাই হতে পারল না। ফাইনালের মতো মঞ্চেও রিয়াল মাঠ ছাড়লো ২-০ গোলের অনায়াস জয় নিয়ে। পেল আরও একটি শিরোপার স্বাদ। গড়লো রেকর্ড।

আরও একবার প্রমাণ করে দিল কেন তারা চ্যাম্পিয়নস লিগের সবচেয়ে সফল দল। ভাগ্যও হয়তো চেয়েছিল ১৫তম শিরোপাটি এবারই উঠুক তাদের হাতে। নইলে কেনই বা নিরুলাস ফুলকুবুগের সেই শট পোস্টে লেগে ফিরে আসরে।

Screenshot 2024-06-02 102650

ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে রেফারি বাঁশি বাজানোর পর অগোছালো ছিল রিয়াল। কিন্তু এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি ডর্টমুন্ড। ভাগ্য জার্মান ক্লারটিকে খালি হাতে ফিরিয়ে দিয়েছে বারবরার। ম্যাচের প্রথম সুয়োগ্রটি আসে ২১ মিনিটে। ম্যাট হায়েলসের সময়োপযোগী পাস দখলে নিয়ে রিয়াল গোলরক্ষককে একা পেয়ে যান করিম আদেয়েমি। কিন্তু শট নিতে নিতেই তার সামনে বাধা হয়ে আসেন দানি কারভাহাল।

ফাইনালের আগে চ্যাম্পিয়নস লিগে আগে কোনো ম্যাচেই শুরুর একাদশে ছিলেন না কোতোয়া। খেলার কথা ছিল অবশ্য আন্দ্রি লুমিনেরই। ফুলু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সময়মতো অনুশীলন করতে পারেননি বলে তাকে নিয়ে ঝুঁকি নেননি কোচ কার্লো আনচেলত্তি।

কিন্তু কোর্তোয়াকে পরাস্ত করে গোল প্রায় পেয়েই গিয়েছিল ডাঁটমুক্ত। ২৩ মিনিটে মাতসেনের কাছ থেকে বল পেয়ে গোলমুয়ে শট নেন ফুলরূব্রুগ। তা ঠেকানোর জন্য দুই হাত ছড়িয়ে দিয়েও পারেননি কোতোয়া। তবে শেষ পর্যন্ত রিয়ালকে বাঁচানোর ভুমিকাটা পড়ল বারপোস্টের কাঁধে। যা গোল থেকে বঞ্চিত করে ডটিমুন্ডকে। ২৮ মিনিটে দারুণ এক সেভে রিয়ালকে রক্ষা করেন কোতোয়া।

Screenshot 2024-06-02 102719

তাই গোলশূন্য ড্র নিয়ে কোনোমতে বিরতিতে যেতে পারায় স্বস্তি পায় রিয়াল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামে খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার স্বপ্ন নিয়ে। সেই স্বপ্ন পুরণ করেই ছাড়ে মাঠ। টনি ক্রব্রুসের ক্লার ক্যারিয়ারের শেষটাও তা-ই হলো রাজকীয়ভাবে। অবসর নিতে যাওয়া এই জার্মান মিডফিল্ডারের কর্নার থেকেই হেডে ৭৪ মিনিটে ডেডলক ভাঙেন দানি কারভাহাল। দ্বিতীয় গোল পেতে রিয়ালকে অপেক্ষা করতে হয় কেবল ৯ মিনিট অর্থ্যৎ ম্যাচের ৮৩ মিনিটে। জুড বেলিংহ্যামে পাস থেকে খুব সহজেই জালের ঠিকানা খুঁজে নেন ভিনিসিযুস জুনিয়র। এরপর আর কী, কোনো অঘটন ছাড়াই হাজির। হলো রিয়াল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মুহূর্ত।

জেপি/নি-২/প