মো. সোহাগ হোসেন, শার্শা (যশোর):

যশোরের শার্শায় বেতনা নদী দখল করে দোকান ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে ছোট মান্দার তলা গ্রামের আব্দুস সাত্তার মিয়া ও তার ছেলে রনি মিয়ার বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় এলাকাবাসী  আব্দুস সাত্তার মিয়া ও রনি মিয়ার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নারায়ণ চন্দ্র পাল ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা ইসলামের কাছে ৩৫ (পঁয়ত্রিশ) জনের গণস্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এলাকাবাসীর গণস্বাক্ষরিত অভিযোগে জানা গেছে, শার্শা উপজেলার মধ্যস্থান হরির্ণাপুতার ছোট মান্দার তলা মোড়ে সরকারি সম্পত্তি বেতনা নদী দখল করে পাকা পিলার স্থাপন করে অবৈধ ভাবে দোকান ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।

অভিযোগে আরও জানা গেছে, এই অবৈধ ভাবে বেতনা নদী দখল করে দোকান ঘর নির্মাণ কাজে সহযোগিতা করেছেন মো. তবিবর রহমান নামে এক স্থানীয় ইউপি সদস্য।

অভিযোগে এলাকাবাসী আরো দাবী জানান, অবৈধভাবে নদী দখলকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এলাকাবাসী অভিযোগে আরো জানিয়েছেন, যদি এভাবে নদী দখল হয়ে যেতে থাকে, তাহলে এক সময় নদীর নাব্যতা ও অস্তিত্ব হারিয়ে যাবে এবং পরিবেশের ভারসাম্য হুমকীর মুখে পড়বে। এজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অবৈধভাবে নদী দখলকারীদের বিরুদ্ধে আইনের বিধান মোতাবেক জরুরী ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা।

এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নারায়ণ চন্দ্র পাল জানান, এলাবাসীর পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পরপরই ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এসিল্যান্ডকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা ইসলাম জেপি নিউজ ২৪ ডটকম'কে জানান, দোকান ঘর যাতে নির্মাণ করতে না পারে তার জন্য ঐ ইউনিয়নের নায়েব এবং চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং সাত দিনের মধ্যে অপসারণ করে নিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যদি তার মধ্যে অপসারণ না করে, তাহলে তাদের নামে মামলা করা হবে এবং সরকারি ভাবে অপসারণ করা হবে। এতে লেবার খরচ যা হবে সব খরচ রনি মিয়াকে বহন করতে হবে বলে জানান তিনি।

জেপি/নি-১০/এমএইচ


জেপি নিউজে জনপ্রিয়