উদ্যোক্তা

ভালুকায় ছয় বন্ধু মিলে প্লাস্টিক বর্জ্য গলিয়ে উৎপাদন করছে পেট্রোল ও গ্যাস

হুমায়ুন কবির,ময়মনসিংহ:

ময়মনসিংহের ভালুকায় উপজেলার ভায়াবহ গ্রামের ছয় বন্ধু মিলে, ইউটিউব দেখে ফেলে দেয়া প্লাস্টিক পন্য গলিয়ে উৎপাদন করছে পেট্রোল,গ্যাস, ডিজেল।

তারা হলেন,মোস্তফা, রামু,  রফিকুল,  সাইদুল,  আশরাফুল এবং বিল্লাল এই ছয় বন্ধুর  চেষ্টায় গড়ে উঠেছে প্লাস্টিক পণ্য গলিয়ে গ্যাস ও জ্বালানি তৈলের রিফাইনারি  প্লান্ট। উদ্যোক্তা ছয় বন্ধুর বাড়ি উপজেলার মল্লিকবাড়ী ইউনিয়নের ভায়াবহ গ্রামে। পলিথিন প্লাস্টিকের বর্জ্য ডুকানো হচ্ছে বিশেষ ভাবে তৈরি ড্রামে এর পর ড্রামটিতে দেয়া হচ্ছে আগুনের তাপ এতে ড্রামে থাকা পলিথিন প্লাস্টিক গলে বাষ্পে রুপ নেয়, সেই বাষ্প আলাদা আলাদা চেম্বারে গিয়ে জমা হয় ডিজেল পেট্রোল, ও গ্যাসে রুপান্তর হয়।

উদ্যোক্তারা জানান, এই পলিথিন প্লাস্টিকের যত্রতত্র ব্যবহারে পরিবেশ হচ্ছে দূষিত, এ দূষণ থেকে কিভাবে সমাজকে বাঁচানো যায় সে চিন্তা থেকে ইউটিউব দেখে পলিথিন, প্লাস্টিক গলিয়ে জ্বালানি উৎপাদনের পদ্ধতি আয়ত্বে আনার চেষ্টা করেন তারা ।   

তারা জানান ২০০ কেজি প্লাস্টিক গলিয়ে ১০০ কেজি জ্বালানি তৈল পাওয়া যায়। তারা কয়েক বার চেষ্টা করে সফল হন তারা। আর এ জ্বালানি পেট্রোল দিয়ে মাইলেজ একটু বেশি হয়। তাদের প্রত্যাশা সরকার যদি তাদের সহযোগিতা করে তাহলে জ্বালানি খাতে তারা ভূমিকা রাখতে পারে।

উদ্যোক্তা আরো জানান, আমি জামালপুরের তৌহিদুল ইসলাম কে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরস্কার দিয়েছিল এ জ্বালানি উৎপাদনের জন্য আমি সেটা দেখে নিজে উৎসাহিত হয়ে কাজ শুরু করেছি। আমরা সফল তবে সরকার আমাদের কে যদি সহযোগিতা করে তাহলে আমরা উৎপাদন ব্যাপক ভাবে বাড়াতে পারবো।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আকরাম হোসাইন বলেন তাদের এ উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়, তবে এর দ্বারা পরিবেশের কোন ক্ষতি যেন না হয় সে দিকে দৃষ্টি রাখতে হবে।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপা ভালুকা আঞ্চলিক শাখার সদস্য সচিব কামরুল হাসান পাঠান কামাল জানান,ভালুকার বিভিন্ন স্থানে প্লাস্টিক বর্জ্য ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এগুলো পরিবেশের জন্য অত্যান্ত হুমকি স্বরুপ। এ সমস্ত প্লাস্টিক বর্জ্য গলিয়ে গ্যাস ও জ্বালানি উৎপাদনের উদ্যোগটি সুন্দর তবে সেটি পরিবেশ সম্মত হলে ভালো হয়।

জেপি/নি-২৪/এসএম/প্রঃ- ময়মনসিংহ