মিয়ানমারে ফিরে যেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে রোহিঙ্গারা। মিয়ানমারের ‘পরিবেশ-পরিস্থিতি’ দেখে ফিরে এসে এমন তথ্যই জানিয়েছে রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধি দল।

শুক্রবার (৫ মে) সন্ধ্যা ৬ টার দিকে টেকনাফ জেটি ঘাটে ফিরে আসে তারা। একই দিন সকালে প্রতিনিধিদলটি মিয়ানমারের মংডু শহরের উদ্দেশ্যে টেকনাফ ত্যাগ করেন।

প্রতিনিধিদলে ৩ নারীসহ ২০ জন রোহিঙ্গা, ৬ জন বিভিন্ন দপ্তরের বাংলাদেশি কর্মকর্তা এবং একজন দোভাষী ছিলেন। তারা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিপের আইডিপি ক্যাম্পের পরিস্থিতি দেখার পর সন্ধ্যায় টেকনাফে ফিরে আসেন।

সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন রাখাইন ঘুরে আসা রোহিঙ্গা প্রতিনিধিরা। এসময় রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব কার্ড সরবরাহ করা হবে না বলে সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন মিয়ানমার প্রতিনিধিরা, এমনটিই দাবি করেন রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। পূর্ণ নাগরিকত্ব ছাড়া মিয়ানমার যাওয়া মানে অতিথি হয়ে থাকা বলে মনে করছেন তারা। এমনটি হলে মিয়ানমার যেকোনো মুহূর্তে আবার রোহিঙ্গাদের বের করে দিতে পারে বলে মন্তব্য করেন রোহিঙ্গা প্রতিনিধি দলের সদস্য মো. সেলিম।

তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারে ৩৫ জাতি নাগরিক সুবিধা পেলে আমরা কেন পাবো না? সকল সুযোগ সুবিধাসহ নাগরিকত্ব কার্ড পেলে আমরা মিয়ানমার ফিরে যাবো অন্যথায় যাবো না।’ প্রতিনিধিরা আরো জানান, মিয়ানমারে পৌঁছার পর তাদের তৈরি করা ক্যাম্পে রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদের নিয়ে যাওয়া হয়। এসব ক্যাম্প রোহিঙ্গাদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। প্রতিনিধিরা বলেন, আমরা সে দেশের নাগরিক। ক্যাম্পে কেন আমাদের থাকতে হবে?

মিয়ানমারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প সম্পর্কে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমাদের মন্দ লাগেনি। সবকিছু গোছানো মনে হয়েছে। তবে, মূলত এগুলো বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জন্যই। আমরা তাদের প্রত্যাবাসনের আয়োজক মাত্র। যারা প্রত্যাবাসিত হবেন তাদের এগুলো দেখানোই ছিলো আমাদের মূল লক্ষ্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘মিয়ানমার প্রতিনিধিরা রোহিঙ্গা দলকে এসব বিষয়ে ব্রিফিং করেছেন। তারা (রোহিঙ্গারা) কী দেখেছেন তারাই বলতে পারবেন। পরবর্তী পদক্ষেপ গণমাধ্যমকে অবশ্যই জানানো হবে।’

এর আগে, একই দিন সকাল সাড়ে ৯টায় টেকনাফের নাফ নদীর জেটি ঘাট হয়ে প্রতিনিধিদলটি মিয়ানমারের মংডু শহরের উদ্দেশ্যে টেকনাফ ত্যাগ করেন। পরিদর্শন শেষে সন্ধ্যায় তারা টেকনাফে ফিরে আসেন।

জেপি নিউজ ২৪ ডটকম/ডেস্ক 


জেপি নিউজে জনপ্রিয়