জেপি নিউজ ২৪ ডটকম:
 
মানিকগঞ্জে এসএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড নিয়ে বিপাকে পড়েছেন দুই শিক্ষার্থী।তারা ব্যবসা শিক্ষা শাখায় লেখাপড়া করলেও, রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্রে এসেছে মানবিক শাখা লেখা।ফলে ৩০ এপ্রিল তাদের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহনই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।বিষয়টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জানালেও কোন সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন ওই দুই শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা। 
 
বৃহস্পতিবার(২৮ এপ্রিল)ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড সংশধনের ব্যবস্থা করার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন।
 
জানাগেছে, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার জাগীর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আব্দুল কাদের ও সুমাইয়া আক্তার নবম শ্রেনী থেকেই ব্যবসা শিক্ষা শাখায় পড়াশোনা করেছেন। আসন্ন মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট(এসএসসি)পরীক্ষায় তাদের অংশ নেওয়ার কথা। পরীক্ষা শুরু হবে ৩০ এপ্রিল থেকে।কিন্তু তাদের প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড ব্যবসা শাখার পরিবর্তে ভুল করে মানবিক শাখা উল্লেখ করা হয়েছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আব্দুল কাদের ও সুমাইয়া আক্তার জানান, দুই বছর আগে জাগীর উচ্চ বিদ্যালয়ে ব্যবসা শিক্ষা শাখায় ভর্তি হন তারা।
 
দুই বছর এই শাখাতেই পড়ালেখা করেছেন।ব্যবসা শিক্ষা শাখার কয়েকটি বিষয়ে সারা বছর প্রাইভেট পড়া এবং স্কুলের টেস্ট পরীক্ষাও অংশ নিয়েছেন তারা।কিন্তু দুই দিন আগে পরীক্ষার প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড পাওয়ার পর দেখা যায়, তাতে লেখা রয়েছে মানবিক শাখা।বিষয়টি শিক্ষকদের জানালেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
 
পরীক্ষার্থী আব্দুল কাদের বলেন, রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র ভুল হওয়ার বিষয়টি শিক্ষকদের জানালে তারা বলেছেন এখন কিছুই করার নেই।মানবিক শাখার বিষয়েই তাদের পরীক্ষা দিতে হবে।দুই বছর এক বিভাগে পড়াশোনা করে, এখন অন্য বিভাগে পরীক্ষা দিয়ে পাস করা তাদের পক্ষে অসম্ভব।
 
সুমাইয়ার মা রোজিনা আক্তার জানান, তার মেয়ে দুই বছর ব্যবসা শিক্ষা শাখায় লেখাপড়া করেছে।রেজিস্ট্রেশন ও প্রবেশপত্রে ভুল আসর কারনে, এখন শিক্ষকরা বলছেন মানবিক শাখায় পরীক্ষা দিতে হবে।এতে তার মেয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে।অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে পরীক্ষায় অংশ গ্রহনও।
 
এ বিষয়ে জানাতে চাইলে জাগীর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোশারফ হোসেন জানান, নবম শ্রেনীতে রেজিস্ট্রেশনের সময় শিক্ষার্থীদের দেওয়া তথ্যই লিপিবদ্ধ করা হয়।তারপরও এ বিষয়ে উচ্চমাধ্যমিক ও শিক্ষা বোর্ডে যোগাযোগ করা হলে সংশোধনের সুযোগ নেই বলে জানিয়েছে।এখন প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড অনুযায়ি ওই দুই পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা দিতে হবে।
 
শিক্ষার্থীদের লিখিত আবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ জানান, বৃহস্পতিবার তিনি ঢাকায় ছিলেন।এজন্য পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড সংশোধনের আবেদনটি হাতে পাননি।তবে তাদের সমস্যা সমাধানে কি করা যায় সে বিষয়ে খোঁজখবর নিবেন বলে জানান তিনি।
 
জেপি নিউজ২৪ ডটকম