নিজস্ব প্রতিবেদক :
পদ্মা সেতু চালু হবার পর দেশের দক্ষিণ-পশ্চিাঞ্চলের মানুষের যাতাযাতের নতুর দ্বার উম্মোচন হয়েছে। ওই অঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ সবাই এখন পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট ব্যবহার করছে না। যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেশ কমে গেলেও আসন্ন ঈদুল ফিতরে ঘরমুখী যাত্রী ও যানবাহনের পারাপার নির্বিঘ্নেকরতে প্রস্তুতির কমতি নেই পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাট কর্তৃপক্ষের।
নৌরুটে বহরে থাকা ফেরি মেরামত, ফেরি বৃদ্ধি, জেলা প্রশাসন-পুলিশ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তর নিয়ে সমন্বয় মিটিংও সেরেছে। ঘাট কর্তৃপক্ষের দাবি পদ্মা সেতু হলেও এখনও দক্ষিণ অঞ্চলের অনেক জেলার লোকজন এ নৌরুট ব্যবহার করে থাকে । প্রতিবারের মত ঈদে ঘরমুখী মানুষের বেশ চাপ পড়বে এ রুটে দাবি সংশ্লিষ্টদের। তবে মহাসড়কে স্থানীয় বালুবাহী ট্রাক গুলো ভোগাতে পাওে বলে ধারনা স্থানীয়দের।।
ঘাট সুত্রে জানা গেছে, আসন্ন ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে বহরে থাকা ফেরি গুলোর ছোট-খাটো সমস্যার মেরামতের কাজ চলছে। বহরে থাকা ছোট-বড় ১৮ ফেরি সাথে যুক্ত করা হবে আরো দুইটা বড় ফেরি। এবার ঈদ উপলক্ষে এ নৌরুটে ১০ রোরো (বড় ফেরি), মাঝারি(ইউটিলিটি)-৫টি, ছোট ( কে-টাইপের) ৩ টি এবং দুইটি ড্রাম ফেরি চলাচল করবে। এদিকে যাত্রী পারাপারের জন্য ছোট বড় ৩৩টি লঞ্চ চলাচল করবে। ইতিমধ্যে লঞ্চ গুলোর ফিনেস পরিক্ষাসহ সকল ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে লঞ্চ মালিকরা। উভয় পারে ঘাট গুলো সচল করে রাখা হয়েছে। অপর দিকে আরিচা- –কাজীর হাট নৌরুটে ছোট-বড় ছয়টি ফেরি, শতাধিক স্পিডবোডসহ যাত্রীর চাহিদানুযী পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুট থেকে লঞ্চ এনে যাত্রী পারাপার করা হবে।
বিআইডব্লিউটিসির পাটুরিয়া ঘাটে ব্যবস্থাপক মো. আব্দুস সালাম বলেন, আসন্ন ঈদে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। কোন বিষয়ে আমাদের প্রস্তুতির ঘাটতি নেই। উপরের সিদ্ধান্ত মতে ঈদের তিন দিন আগে ও পরে পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ছাড়া সকল ট্রাক পারাপার বন্ধ রাখা হবে।
বিআডব্লিউটিসির পাটুরিয়া ঘাটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রুবেলুজ্জামান বলেন, ইতিমধ্যে পাটুরিয়া -দৌলতদিয়া রুটে বহরে থাকা সকল ফেরির টুকিটাকি মেরামতের কাজ শেষ করা হয়েছে । এছাড়া ফেরি চলার সময় কোন সমস্যা দেখা দিলে তাৎক্ষণিক আমরা ভাসমান মধুমতি কারখানায় মেরামত করে দেওয়ার ব্যবস্থা রাখছি। নদীতে এবারের পরিস্থিতি বাড়তি সুবিধা দেবে। স্রত না থাকার সাথে সাথে নব্যতা সংঙ্কটও নেই। সব মিলে আশা করছি এবার ঈদে ফেরি কোন সমস্যা হবে না।
শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহিদুর রহমান জানান, ইতি মধ্যে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার , বিআইডব্লিউটিএ- বিআইডব্লিউটিসি,ও উর্দ্ধতণ কর্মকর্তাসহ সকলকে নিয়ে সমন্বয় মিটিং করা হয়েছে। আসন্ন ঈদে যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে উপজেলা ও জেলার বেশ কয়েকজন ম্যজিস্ট্রেটে সার্বক্ষণিক মোবালই কোর্ট পরিচালনা করবে। এছাড়া প্রচন্ড গরমে কেউ অসুস্থ হয়ে পরলে তাদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা ডিউটি করবে।
শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি, শাহ নূরে আলম বলেন, ঈদে যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য পোশাক-সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকবে। ঈদের তিনদিন আগে ও পরে তিন দিন ট্রাক বন্ধ থাকবে। কোন ধরনের বালুর ট্রাক মহাসড়কে ওই কযদিন চলতে দেওয়া হবে।
জেপি নিউজ২৪ ডটকম/পা-১২/শরিফুল