জেনি নিউজ ডেস্ক: 

ঈদের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি থাকলেও আশানুরূপ যাত্রীর দেখা নেই মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ও রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া নৌপথে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে এ অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে বলে জানান ঘাট কর্তৃপক্ষ।

যাত্রী না থাকায় অলস সময় পার করছেন লঞ্চের চালক-শ্রমিকেরা। দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটে গেলে পন্টুনের সঙ্গে সারি সারি বেঁধে রাখা লঞ্চ দেখতে পাওয়া যায়। দীর্ঘক্ষণ পরপর অল্পসংখ্যক যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যাচ্ছে লঞ্চ।

একই চিত্রের দেখা মেলে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটেও। আগে যেখানে ২০ মিনিট পর পর লঞ্চগুলো ছেড়ে যেত সেখানে এখন যাত্রী কম থাকায় ৩০-৪০ মিনিট পরপর লঞ্চগুলো পাটুরিয়া থেকে ছেড়ে যাচ্ছে। যাত্রীর সংখ্যাও অনেক কম।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত এই পাটুরিয়া-গোয়ালন্দ নৌপথ। মোট ৩৩টি লঞ্চ চলাচল করে এই নৌপথে যার মাধ্যমে বর্তমানে ১ হাজার থেকে ১৫শ যাত্রী পারাপার হচ্ছে। যেখনে আগে পারাপার হতো ৪ থেকে ৫ হাজর যাত্রী। বিশেষ করে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটে সব সময় যাত্রীদের চাপ ছিল।

তবে পদ্মা সেতু চালুর পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে দূরপাল্লার পরিবহনের পাশাপাশি পণ্যবাহী গাড়ি, ব্যক্তিগত গাড়ি কমেছে। সেই সঙ্গে নদী পার হওয়া যাত্রীদের চাপও কমেছে। 

পার হওয়া যাত্রীদের অভিযোগ, যাত্রী কম থাকায় লঞ্চ ছাড়তে সময় বেশি লাগে। এটা এখনকার যাত্রীদের জন্য একরকম ভোগান্তি। লঞ্চঘাটের ব্যবসায়ীদের উপরেও পড়েছে এর প্রভাব। যাত্রী কম থাকায় বেচাকেনাও কমে গেছে কয়েক গুন।

লঞ্চের মালিক-শ্রমিকদের ভাষ্য মতে, যাত্রী কম থাকায় লোকসানে পড়েছেন তারা। অনেক সময় তেলের টাকা ওঠানোও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে। যারা ঘাটে টিকেটের দায়িত্বে আছেন, তাদের পক্ষে ইজারাদারের লোকজনের প্রতিদিনের হাজিরার টাকা ওঠানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে বলেও জানান অনেকে।

আরিচা লঞ্চ মালিক সমিতির দৌলতদিয়া ঘাটের তত্ত্বাবধায়ক নূরুল আনোয়ার মিলন বলেন, লঞ্চের জন্য আগে ঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যাত্রীরা অপেক্ষা করতেন। আর এখন যাত্রী স্বল্পতায় লঞ্চগুলো দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে অল্প কয়েকজন যাত্রী নিয়ে দৌলতদিয়া ঘাট ছেড়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) আরিচা কার্যালয়ের ট্রাফিক পরিদর্শক মো. আফতাব হোসেন বলেন, যাত্রী কমে গেলেও জনস্বার্থে লঞ্চ পারাপার স্বাভাবিক আছে। বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ৩৩টি লঞ্চ যাত্রী পারাপারে চলাচল করছে। রমজান মাস উপলক্ষ্যে এবং তীব্র গরম ও রোদে মানুষ কম বের হচ্ছে। ২০ রোজার পর থেকে যাত্রী বাড়তে পারে। 

জেনি নিউজ ২৪ ডটকম/শ