জেপি নিউজ ডেস্ক:
২০০৯ সালে নোয়াখালী জেলার কবিরহাটে নৃশংসভাবে দিবালোকে পিটিয়ে হত্যা মামলার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. রাসেলকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-২। জিজ্ঞাসাবাদে রাসেল জানায়, মামলায় যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণার পর সে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিজের নাম পরিবর্তনে আত্মগোপন করে আসছিল।
শুক্রবার রাতে ১৪ বছর পর ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব- ২ এর একটি দল। র্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারি পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র এ এসপি মো. ফজলুল হক জানান, ২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি রাতে নোয়াখালী জেলার কবিরহাট উপজেলার নলুয়া গ্রামের রুহুল আমিনকে স্থানীয় ল্যাংড়ার দোকানের পাশে একই গ্রামের আসামিরা পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে তৎকালীন নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ওই ঘটনায় স্ত্রী মিনারা আক্তার বাদী হয়ে পাঁচজনের বিরুদ্ধে কবিরহাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলায় কবিরহাট থানা-পুলিশ তদন্ত শেষে অভিযুক্ত পাঁচ আসামির বিরুদ্ধেই আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করে। আদালত দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে রুহুল আমিনকে হত্যার ঘটনায় পিতা-পুত্রসহ পাঁজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আবুল হাসেম ও তার ছেলে নূরনবী, আব্দুল হক ও তার ছেলে মো. রাসেল এবং আবদুর রহিম।
একই আদেশে আদালত আসামিদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদন্ডের আদেশ দেন। দন্ডপ্রাপ্ত আবুল হাসেম ছাড়া বাকি আসামীরা পলাতক রয়েছেন। প্রথমে সে ঢাকায় ট্রাকের হেলপার এবং পরবর্তীতে দেশের বিভিন্ন স্থানে মিনি ট্রাক ড্রাইভার হিসেবে আত্মগোপনে ছিল। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।