সবাই প্রস্তুত। রংপুর রাইডার্স ও ফরচুন বরিশালের ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু হবে মাত্র। বরিশালের ওপেনার চতুরঙ্গা ডি সিলভা স্ট্রাইকে, রংপুরের বোলার রকিবুল হাসান বোলিং প্রান্তে। কিন্তু স্ট্রাইকে বাঁহাতি চতুরঙ্গাকে দেখে রংপুরের অধিনায়ক নুরুল হাসান বোলার পাল্টে বল তুলে দেন অফ স্পিনার শেখ মেহেদী হাসানের হাতে।

এ পরিবর্তন দেখে অন্য প্রান্তে থাকা এনামুল হক স্ট্রাইকে আসেন। তখন রংপুর আরও একবার বোলার পাল্টে ফেলে। ডানহাতি এনামুলের বিপক্ষে বাঁহাতি স্পিনার রকিবুলকে বোলিং দিতে চাচ্ছিল রংপুর। মাঝ মাঠে যখন এই নাটক চলছিল, তখন ডাগআউট থেকে উঠে আসে বরিশালের অধিনায়ক সাকিব।

স্কয়ার লেগ আম্পায়ার গাজি সোহেলের দিকে তেড়েফুঁড়ে আসেন তিনি। নিয়ম অনুযায়ী সাকিবের মাঠে ঢোকার কথা নয়। কিন্তু তিনি নিয়ম ভেঙে মাঠে ঢুকেছেন, এরপর আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কেও জড়িয়েছেন। সেটি চলতে থাকে প্রায় মিনিট পাঁচেক। এরপর সাকিব মাঠ ছাড়লে বাঁহাতি চতুরঙ্গাকে বাঁহাতি রকিবুলকে দিয়েই বোলিং করানো হয়। আর সে ওভারে রকিবুলের বলেই আউট হন চতুরঙ্গা।

বিপিএলের এমন দিনও ছিল! এক সময় খেলতেন বিশ্বের সেরা ক্রিকেটাররা। টুর্নামেন্ট–সেরার পুরস্কার ছিল গাড়ি। ২০১২ সালে টুর্নামেন্ট–সেরার পুরস্কার গাড়ির সঙ্গে সাকিবের এই ছবি দেখে দীর্ঘশ্বাসই পড়ে

বরিশালের ম্যানেজার সাজ্জাদ আহমেদ পরে ব্যাখ্যা দিয়েছেন কেন সাকিব মাঠে ঢুকেছিলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী কোন বোলার বল করবেন তা ঠিক হওয়ার পর ব্যাটসম্যানরা কে স্ট্রাইক নেবেন তা ঠিক হয়। এক্ষেত্রে শেখ মেহেদীকে বল করতে আসতে দেখে চতুরঙ্গা ডি সিলভার বদলে এনামুল হক বিজয়কে স্ট্রাইকে চাচ্ছিলেন সাকিব। কিন্তু আম্পায়ার সেটার অনুমতি দিতে রাজি হচ্ছিলেন না, এই নিয়ে কথা বলতে মাঠে প্রবেশ করেন তিনি।’

সাকিব অবশ্য এবারের বিপিএলে আগেও আম্পায়ারের সঙ্গে তর্ক করেছেন। ফরচুন বরিশাল ও সিলেট স্ট্রাইকার্সের ম্যাচে সিলেটের পেসার রেজাউর রহমানের বাউন্সারকে ওয়াইড দেওয়ার দাবিতে আম্পায়ার মাহফুজুর রহমানের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি করেন সাকিব।

মাথায় অনেকটা ওপর দিয়ে যাওয়া বলটি পরবর্তীতে ‘ওয়ান বাউন্স’ দেওয়া হয়। সাকিব তাতে সন্তুষ্ট ছিলেন না। আম্পায়ারের সঙ্গে এ নিয়ে তর্ক করেই যাচ্ছিলেন। সাকিবকে সেখান থেকে সরিয়ে আনেন সিলেটের উইকেটকিপার মুশফিকুর রহিম।