আব্দুল্লাহ আল আমিন, রংপুর:
জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সাবেক সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন অতিবাহিত হলেও তারা নির্বাচনের কোনো রোডম্যাপ দিতে পারেনি। এক্ষেত্রে তারা ব্যর্থ। কেননা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কাজ হচ্ছে একটা অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচন দেওয়া।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে রংপুর নগরীর সেন্ট্রাল রোডের দলীয় কার্যালয়ে রংপুর বিভাগীয় প্রতিনিধি সভার আগে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
মোস্তাফিজার রহমান বলেন, ১৭ বছর ধরে অপেক্ষায় আছে দেশের মানুষ। অথচ তারা একেক সময় একেক কথা বলছেন, যার কারণে মানুষের মনে নানা বিষয়ে আশঙ্কা দানা বাঁধতে শুরু করেছে।
সাবেক মেয়র বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস অত্যন্ত উঁচুমানের মানুষ। কিন্তু উনিতো কোনো রাজনীতি করেন নাই, দেশ পরিচালনা করেন নাই। এজন্য দেশ পরিচালনায় অনেক ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে কিছুটা উন্নতি হলেও অন্যান্য সব সেক্টরেই সমস্যা। বিশেষ করে আইন শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে পুলিশ একেবারে নিষ্ক্রিয়। পুলিশ সক্রিয় না হলে নির্বাচন কীভাবে হবে। পুলিশের কাজ তো আর্মি দিয়ে হবে না। কেননা ভোট কেন্দ্র পুলিশ ছাড়া কে পাহারা দেবে। তাই পুলিশকে সক্রিয় করতে হবে সবার আগে।
তিনি আরো বলেন, জাতীয় পার্টি কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের পক্ষে নয়। রাজনৈতিক দল সংস্কার হতে পারে। সংস্কার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আবারও ফিরতে পারে। তাছাড়া আওয়ামী লীগের সবাই তো খারাপ নয় আওয়ামী লীগের মধ্যে ভালো রাজনীতিবিদও আছেন।
রংপুর সিটির সাবেক মেয়র বলেন, যারা অন্যায়ের সঙ্গে জড়িত সেটা জাতীয় পার্টি, আওয়ামী লীগ বা বিএনপি যেই হোক না কেন, তাদের অপরাধের শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। কিন্তু যারা অপরাধ করেনি, দোষী না, তাদের রাজনীতি থেকে বিরত রাখার পক্ষে আমরা নই। কোনো দলকে নিষিদ্ধ করে বাইরে রাখা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য অন্তরায়।
আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধের ব্যাপারে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের কথা উঠেছে কিন্তু জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধের কথা এখনও উঠে নাই। যখন উঠবে তখন দেখা যাবে। জাতীয় পার্টি নিজেদের শক্তি বাড়াতে দলকে সুসংগঠিত করতে কাজ করে যাচ্ছে।
রংপুর বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় উপস্থিত ছিলেন-জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসীর, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব আব্দুর রাজ্জাকসহ রংপুর বিভাগের ৮ জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।
জেপি/নি-২১/এমএইচ