সোমবার রাতে গ্রেফতার হওয়ার পর আজ মঙ্গলবার কান্না করতে করতে আদালতে উপস্থিত হয়েছিলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. আব্দুল হালিম আদালতে সুমনের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালত হত্যাচেষ্টা মামলায় ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকীর উদ্দেশে কথা বলতে চান সুমন। তবে ওমর ফারুক তাকে এড়িয়ে যান। এসময় সুমন বলেন, আপনার সঙ্গে আলাদা করে কিছু বলব না স্যার। আপনার মাধ্যমে সব আইনজীবীর কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি। আমি খুব সরি স্যার।
সুমনের রিমান্ড বাতিল চেয়ে তার পক্ষের আইনজীবী মোর্শেদ হোসেন শাহীন। তিনি বলেন, ব্যারিস্টার সুমন একজন মেধাবী আইনজীবী সেই সাথে তিনি একজন সমাজসেবকব ও রাজনীতিবিদ। তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ঢাকা মহানগর পিপি ওমর ফারুক ফারুকী জামিন আবেদনের ঘোর বিরোধিতা করে আসামীর সর্বোচ্চ রিমান্ড প্রার্থনা করেন। সেই সাথে তিনি বলেন, ব্যারিস্টার সুমন জনগণের আবেগকে কাজে লাগিয়ে বারবার প্রতারণা করেছেন। লোক-দেখানো সমাজসেবার আড়ালে তিনি সবসময় ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে কাজ করেছেন।
জেপি/নি-২২/প