logo
আপডেট : 11, September 2024 12:12
কমলার বাক্যবাণে জর্জরিত ট্রাম্প

কমলার বাক্যবাণে জর্জরিত ট্রাম্প

কে হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট তা নির্ধারণ হবে আগামী ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে। এর আগে প্রথমবারের মতো সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সরাসরি বিতর্কে মুখোমুখি হয়েই বাজিমাত করলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস।

মঙ্গলবার স্থানীয় সময় ৯ টায় এবিসি নিউজের আয়োজনে এ বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। সরাসরি বিতর্কের শুরু থেকেই ট্রাম্পকে চেয়ে ধরেন কমলা। একের পর এক যুক্তি দিয়ে ট্রাম্পের প্রতিটি প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।

বিতর্ক শুরু হয় দুজনের করমর্দন দিয়ে। এরপরে উভয় নেতা গাজা যুদ্ধ, অর্থনীতি, কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্যসেবা, মূল্যস্ফীতি, অভিবাসন নীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেন। তবে কমলার কাছে পাত্তাই পাচ্ছিলেন না ট্রাম্প। শেষে কমলাকে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে খারাপ প্রেসিডেন্ট বলে বর্ণনা করেন তিনি।

বিতর্কের প্রথম প্রশ্নই ছিল অর্থনৈতিক পরিকল্পনা ও মূল্যস্ফীতি নিয়ে। এই ইস্যুতে কমলা বলেন, তিনি মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে এসেছেন। তাই তিনি তাদের কষ্ট বোঝেন। এজন্য মধ্যবিত্তদের জন্য কর কর্তনের পরিকল্পনার কথা জানান কমলা। আর ট্রাম্প ক্ষমতায় গেলে ধনীদের কর কর্তন করা হবে বলে উল্লেখ করেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট।

জবাবে ট্রাম্প বলেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে দেশটির ইতিহাসের সেরা অর্থনীতি বানিয়েছিলেন। আর মূল্যস্ফীতির জন্য বাইডেন প্রশাসনকেই দায়ী করেন তিনি।

তবে ক্ষমতায় যেতে দুই নেতাই ইসরায়েলকে তোষণ করেছে। ট্রাম্প অভিযোগ করে বলেন, কমলা ইসরায়েলকে ঘৃণা করেন। তিনি আরব জনগণকেও ঘৃণা করেন বলে দাবি করেন ট্রাম্প। গাজা যুদ্ধ নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট থাকলে এ যুদ্ধ হতোই না। এই যুদ্ধের সমাপ্তি হওয়া উচিত উল্লেখ করে কমলা বলেন, ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে, তবে এটি কীভাবে করছে তা গুরুত্বপূর্ণ।

বিতর্কের এক পর্যায়ে বাইডেনকে অস্তিত্বহীন প্রেসিডেন্ট বলেন ট্রাম্প।  ওই মন্তব্য জের কমলা জবাব দেন। আপনি নির্বাচন বাইডেনেরে বিরুদ্ধে লড়ছেন না, আপনি লড়ছেন আমরা বিরুদ্ধে। কমলা আও বলেন, আপনি (ট্রাম্প) এখন আর প্রেসিডেন্ট নেই-এতে আমাদের ন্যাটোর মিত্ররা খুবই কৃতজ্ঞ।

প্রসঙ্গত, গত জুলাইয়ে প্রেসিডেন্ট বাইডেন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে সমর্থন দেন। মূলত এরপর থেকেই ডেমোক্র্যাটিক ও রিপাবলিকান উভয় শিবিরেই চলছে নিজ নিজ প্রার্থীর পক্ষে বেশ জোর প্রচারণা চালাতে দেখা যাচ্ছে।

জেপি/নি-১১/প