logo
আপডেট : 01, September 2024 12:29
বাঁচতে চায় অ্যাপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়া আক্রান্ত সাজিদ

বাঁচতে চায় অ্যাপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়া আক্রান্ত সাজিদ

প্রতিনিধি, চিলমারী (কুড়িগ্রাম):

পৃথিবীর আলো-বাতাসে বেঁচে থাকতে চায় চিলমারীর অ্যাপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়া রোগে আক্রান্ত মো.আব্দুল্লাহ আল সাজিদ। অ্যাপ্লাস্টিক  অ্যানিমিয়া রোগে ক্ষতিগ্রস্ত বোনমেরু প্রতিস্থাপন করলে সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে সাজিদ। পূর্ণ হবে তার কুরআনের হাফেজ হওয়ার স্বপ্ন,ফিরে পাবে সে তার বাবা-মায়ের কোল।

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলাধীন থানাহাট ইউনিয়নের থানাপাড়া এলাকার মো.সাজ্জাদ হোসেন ও গৃহিণী মোছা.খায়রুম মনিরা দম্পতির দুই ছেলের মধ্যে বড় ছেলে মো.আব্দুল্লাহ আল সাজিদ(১২)। ছেলেকে কুরআনের হাফেজ বানাতে প্রাথমিকের লেখা-পড়া শেষে হাফেজি মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়ে দেন বাবা-মা। সেখানে ৫পাড়া কুরআন খতম করেছে সাজিদ। ভালোই চলছিল তার লেখা-পড়া। ২০২৩সালের জুলাই মাসে হঠাৎ জন্ডিসে আক্রান্ত হয়ে পড়ে সাজিদ। দেড় মাস চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে মাদ্রাসায় ফিরে যায় সে। ২০দিন যেতে না যেতেই আবার জন্ডিসে আক্রান্ত হয়ে পড়ে শিশু সাজিদ। দ্বিতীয়বার চিকিৎসার জন্য গেলে চিকিৎসক ঢাকাস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু হেপাটোলজি বিভাগে প্রেরণ করেন। চিকিৎসকের পরামর্শে সেখানে গিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিবীক্ষা করে প্রথমে হাইপোফ্লাশিয়া ও পরে অ্যাপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়া হয়েছে বলে জানা যায়।

চিকিৎসকের মতে এই রোগের চিকিৎসা তিন ভাবে হতে পারে। প্রথমত-ঔষধ প্রয়োগ করে,দ্বিতীয়ত-এটিজি ইনজেকশন প্রদান করে এবং তৃতীয়ত-বোনমেরু ট্রান্সপ্লান্টেশন করে।

সাজিদের বাবা সাজ্জাদ হোসেন জানান,ছেলের সুস্থতার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক প্রথম পদ্ধতি অর্থাৎ ঔষধ প্রয়োগের চিকিৎসা নিতে থাকি। এতে শরীরে রক্ত প্রদানসহ ঔষধ কিনতে প্রতিদিন ১লক্ষ টাকা করে খরচ হচ্ছিল। ঔষধের ডোজ শেষ করার পর আরোগ্য না হওয়ায় দ্বিতীয় অথবা তৃতীয় পদ্ধতিতে চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসক। দ্বিতীয় পদ্ধতিতে এটিজি ইনজেকশন প্রদান করতে খরচ হবে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা এবং তৃতীয় পদ্ধতিতে বোনমেরু ট্রান্সপ্লান্টেশন করতে খরচ হবে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা।

তিনি আরও জানান,নিজের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি এবং ঋণ করে এ পর্যন্ত ছেলের পিছনে তার খরচ হয়েছে প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা। ছেলের পরবর্তী চিকিৎসা করানোর জন্য এত টাকা যোগার করা তার জন্য অসম্ভব প্রায়।

১২ বছর বয়সের কুরআনের হাফেজ শিশু সাজিদ পৃথিবীর আলো-বাতাসে বেঁচে থাকতে চায়। আর এজন্য বিত্তশালীদের সহযোগিতা কামনা করেছে শিশু সাজিদ। যোগাযোগ করুন মো.সাজ্জাদ হোসেন(সাজিদের বাবা-০১৯১৩-৮৮৮৮৫৩।

জেপি/নি-১/প