অনাস্থা ভোটের মুখে পড়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উত্তর-পূর্ব ভারতের মণিপুর রাজ্যের সহিংসতা নিয়ে মুখ না খোলায় লোকসভায় এই অনাস্থা ভোটের মুখে পড়েছেন তিনি।
বুধবার (২৬ জুলাই) কংগ্রেসের এক সাংসদ এই অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব করেন।
প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব করলে স্পিকার ওম বিরলা প্রস্তাবটি গ্রহণ করেন। রাজনৈতিক নেতাদের সাথে আলোচনা করে কয়েকদিনের মধ্যেই ভোটের তারিখ ঘোষণা করার কথাও জানান তিনি।
মোদিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে এই অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব করা হয়নি বলে জানিয়েছে বিরোধী দল কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতারা জানান, মূলত মণিপুর ইস্যু নিয়ে মোদি যাতে বিস্তারিত আলোচনা করেন সেজন্যই এই অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব করা হয়েছে।
অনাস্থা ভোটের মুখে পড়ায় মোদিকে এখন নিজের সরকার নিয়ে ব্যাপক আলোচনা করতে হবে। সাফাই গাইতে হবে নিজেদের সরকারের পক্ষে।
ভারতের আইন অনুযায়ী কোনো দল যদি লোকসভায় অনাস্থা ভোট আনতে চায়, তাহলে অন্তত ৫০ জন আইনপ্রণেতাকে এই প্রস্তাবে সমর্থন জানাতে হতো যা কংগ্রেস সহজেই পেয়ে গেছে।
এই অনাস্থা ভোট মূলত সরকারের পতনের জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এমনই এক অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতাচ্যুত হন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তবে লোকসভায় বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় ক্ষমতা হারানোর ভয় থাকছে না মোদির।
জেপি/নি-২৬/এমএইচ