কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। একইসাথে দেশটিতে কিছু বিদেশি সহায়তা কর্মসূচিও স্থগিত করছে দেশটি।
রোববার (২৩ জুলাই) শক্তিশালী বিরোধীদল বিহীন একতরফা সাধারণ নির্বাচনে দেশটির ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী জয়ের দাবি করার পর এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিলো ওয়াশিংটন।
এক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, রোববার কম্বোডিয়ায় সাধারণ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন কম্বোডিয়ান পিপলস পার্টি (সিপিপি) ভূমিধস বিজয়ের ঘোষণা দেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা কম্বোডিয়ায় কিছু বিদেশি সহায়তা কর্মসূচি স্থগিত করছে। একইসাথে গণতন্ত্রকে অবমূল্যায়ন ও ধ্বংসসাধনের চেষ্টা করা ব্যক্তিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের পদক্ষেপ নিচ্ছেন তারা।
সিপিপির সঙ্গে এবারের নির্বাচনে অংশ নিয়েছে আরও ১৭টি রাজনৈতিক দল। তবে এই ১৭টি দলের কোনোটিই এর আগে ২০১৮ সালের নির্বাচনে একটি আসনেও জয় পায়নি। তাই ব্যাপক প্রশ্নবিদ্ধ এই নির্বাচনের পরপরই কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের পাশাপাশি কিছু সহায়তা কর্মসূচি স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে বলেছেন, রোববারের নির্বাচনে (কম্বোডিয়ার) প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের দল সিপিপি কোনো কার্যকর প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হয়নি এবং এই নির্বাচন ‘অবাধ বা সুষ্ঠু ছিল না।’ এতে ওয়াশিংটন ‘বিক্ষুদ্ধ’।
মিলার বলেন, ‘আর এর প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র এমন ব্যক্তিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পদক্ষেপ নিয়েছে যারা গণতন্ত্রকে ক্ষুণ্য করেছে। এবং একইসাথে দেশটিতে কিছু বিদেশী সহায়তা কর্মসূচী স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে’।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের মে মাসে ‘কাগজে ত্রুটি থাকার’ অভিযোগে সিপিপির একমাত্র প্রতিপক্ষ ক্যান্ডেললাইট পার্টিকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। গত ৩৮ বছর ধরে কম্বোডিয়ার ক্ষমতায় আছেন ৭০ বছর বয়সী হুন সেন।
সমালোচকরা কম্বোডিয়ার এই নির্বাচনকে ‘ব্যাপক প্রতারণা’ আখ্যা দিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছেন। ছেলের ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতেই এই পাতানো নির্বাচন বলে মনে করেন তারা।
জেপি/নি-২৪/এমএইচ