logo
আপডেট : 08, May 2023 13:57
আজ কবিগুরুর ১৬২ তম জন্মবার্ষিকী

আজ কবিগুরুর ১৬২ তম জন্মবার্ষিকী

আজ ২৫ শে বৈশাখ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২তম জন্মবার্ষিকী। ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে কলকাতার জোড়াসাঁকোর এক ধর্ণাঢ্য ও সংস্কৃতিবান পিরালী ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তাঁর ছদ্মনাম ছিল ‘ভানুসিংহ’।

জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে মহর্ষী দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঘর আলো করে জন্ম নেন কালজয়ী এ কবি। তিনি হলেন বাঙালির আত্মিক মুক্তি ও সার্বিক স্বনির্ভরতার প্রতীক। রবীন্দ্রনাথের গান তার অন্যতম শ্রেষ্ঠ কীর্তি। তাঁর রচিত ‘জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে’ ও ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’ গান দুটি যথাক্রমে ভারত ও বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত। মনে করা হয়, শ্রীলঙ্কার জাতীয় সংগীত ‘শ্রীলঙ্কা মাতা’ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে লেখা।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাধারে ছিলেন কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, পদকর্তা, নাট্যকার, চিত্রকর, ছোট গল্পকার, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী ও দার্শনিক। তাকে বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক মনে করা হয়।

প্রায় ২ হাজার গান রচনা করেন তিনি। অধিকাংশ গানেরই সুরারোপ করেছেন তিনি নিজেই। তার সব গান ‘গীতবিতান’ গ্রন্থে রয়েছে। জীবিতকালে তার প্রকাশিত মৌলিক কবিতাগ্রন্থ ৫২টি, উপন্যাস ১৩টি, ছোটগল্পের বই ৯৫টি, প্রবন্ধ ও গদ্যগ্রন্থ ৩৬টি এবং নাটকের বই ৩৮টি।

১৮৮৩ সালে মৃণালিনী দেবীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়। ১৮৯০ সাল থেকে রবীন্দ্রনাথ পূর্ববঙ্গের শিয়ালদহের জমিদারি এস্টেটে বসবাস শুরু করেন। ১৯০১ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেখানেই পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু করেন। বৈষ্ণব পদাবলীতে তাঁর যথেষ্ট অবদান রয়েছে।

১৯১৩ সালে 'গীতাঞ্জলি' কাব্যগ্রন্থের জন্য সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তির মধ্য দিয়ে রবীন্দ্রনাথ বিশ্বজুড়ে আলোচনায় আসেন। ১৯১৫ সালে ব্রিটিশ সরকার তাকে নাইট উপাধিতে ভূষিত করে। কিন্তু ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিনি সেই উপাধি ত্যাগ করেন।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় পর্যায়ে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কবিগুরুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বকবির স্মৃতিকে নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে আমরা সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। এছাড়াও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে তিন দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কবির চিত্রশিল্প প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। বাংলা একাডেমিও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।