logo
আপডেট : 06, April 2023 16:57
ঘিওরে জরাজীর্ণ ভবনে চলছে ডাকঘরের কার্যক্রম

ঘিওরে জরাজীর্ণ ভবনে চলছে ডাকঘরের কার্যক্রম

 

নিজস্ব  প্রতিবেদক : ৬ এপ্রলি ২০২৩

মানিকগঞ্জের ঘিওরে ঝুঁকিপূর্ণ জরাজীর্ণ ভবনে ভূতেরে পরিবেশে চলছে উপজেলা প্রধান ডাকঘরের কার্যক্রম। পুরনো ভবন আর দক্ষ জনবল এর অভাবে ব্যাহত হচ্ছে ডাকঘরের সেবার মান। শুনশান নীরবতা আর অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশে একটি কক্ষেই কোনমতে চালু রয়েছে ডাক বিভাগের সেবা। 

অফিস সূত্রে জানাযায়, প্রয়োজন সংখ্যক লোকোবলের অভাব,অনলাইনে কার্যক্রম পরিচালনার জন নেই দক্ষ কম্পিউটার অপারেটর,দুজন পোস্ট ম্যান থাকার কথা থাকলেও রয়েছে ১ জন, ১ জন অপারেটরের পদশূন্য । তিনজন স্টাফ দিয়ে কোনমতে চলছে অফিসের কার্যক্রম। নেই কার্যক্রম করার পোষ্ট মাষ্টারও। এ ডাকঘরের আওতায় চারটি শাখা অফিস রয়েছে এগুলো হলো বাঙ্গালা,বড়টিয়া,তেরশ্রী এবং ধামশ্বরে।   

ডাকঘরে সেবা নিতে আসা শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন,সরকারি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তুলনায় উপজেলার প্রধান এ ডাকঘরটি আধুনিকতার দিক দিয়ে অনেক পিছিয়ে। নেই প্রয়োজন সংখ্যক দক্ষ জনবল আর আধুনিক যন্ত্রাংশ। সেবার মান বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রাচীন এ প্রতিষ্ঠানটিকে আরো বেশি আধুনিকায়ন করা প্রয়োজন।

বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়,ডাকঘেরর দরজা-জানলা ভাঙ্গা,খসে খসে পড়ছে দেয়ালের প্লাস্টার। নেই প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র। প্রয়োজনীয় আলমিরা না থাকায় অফিসের অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ফেলে রাখা হচ্ছে অরক্ষিত অবস্থায়। মাত্র তিনজন জনবল দিয়ে কোনমতে চলছে অফিসের কাজ।

প্রযুক্তির এ স্বর্ণযুগে পিছিয়ে পড়েছে ডাকঘরের চিঠি আদান-প্রদানের কার্যক্রম। যার ফলে আগের মত এখন আর ডাক অফিসে লোকজনের আনা-গোনা দেখা যায় না। সঠিক পরিকল্পনার অভাবে ডাক বিভাগ কিছুতেই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে পেরে উঠছেন না,দাবি সংশ্লিষ্টদের। 

জানা গেছে,বাহিরে থাকা ডাকবাক্সে গেলো এক বছরে একটি চিঠিও পাওয়া যায়নি। শূন্য বাক্স দাঁড়িয়ে আছে কালের সাক্ষী হয়ে। শুধুমাত্র জরুরী অফিসিয়াল কার্যক্রম গুলো চালু রয়েছে ডাকঘরের কাউন্টারে। ডাকঘরের তথ্য মতে, বর্তমানে যেসব কার্যক্রম রয়েছে এগুলো হলো, ডাকটিকিট বিক্রি, ভিপি পার্সেল, পরীক্ষার ইন্টারভিউ কার্ড,সঞ্চয়পত্রের কার্যক্রম উল্লেখযোগ্য। এছাড়া সরকারি দপ্তর গুলিতে বিভিন্ন ধরনের চিঠি ডাক বিভাগের মাধ্যমে আদান-প্রদান হয়ে থাকে। 

ঘিওর উপজেলা ডাকঘরের ভারপ্রাপ্ত পোস্ট মাস্টার মোঃ সাইদুল আজম মোল্লা বলেন, ১৯৮২-৮৩ সালের দিকে ভবনটি নিমাণ হয় । একাধিকবার ভবনের এ দুর্দশা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন। ইতিমধ্যে ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষ ভবনটি পরির্দশনও করেছে। কিন্তু কোনো ফল মেলেনি। অফিসের কাজের গতি বাড়াতে দ্রুত শূন্যপদে লোকবলন নিয়োগ,সচল যন্ত্রাংশ ক্রয় এবং দ্রুত ভবন মেরামত জরুরী। 

মানিকগঞ্জ জেলা পোষ্ট মাষ্টার মোঃ মোজাহারুল ইসলাম বলেন, ইতিমধ্যে ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষ ভবনটি পরির্দশন করেছে। তবে ভবন নিমাণের বিষয়ে ডেপুটি পোষ্ট মাষ্টার জেনারেল,ঢাকা বিভাগের স্যারেরা দেখেন। বরাদ্দ এলেই ভবনটি দ্রুত মেরামত করা হবে। 

 

জেপিনিউজ২৪ ডটকম/ শরিফুল