জেপিনিউজ ২৪ ডটকম :
রাজধানীর বঙ্গবাজারে অগ্নিকান্ডের ভয়াবহতা ভুলে নতুন করে ঘুরে দাড়াতে চান ক্ষতিগ্রস্ত অনেক ব্যাবসায়ী। তবে এক্ষেত্রে এখন বড় বাঁধা ঋণের বোঝা। এজন্য সরকারের সহায়তাও চান তারা।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,এখন নতুন করে ব্যবসা শুরুর জন্য ওই জায়গা ফিরে পাবেন কি না এটা এখন তাদের বড় একটি চিন্তা। তবে সব হারানোর পরেও নতুন করে আবার ব্যবসায় ফিরতে চান খতিগ্রস্থ অনেক ব্যবসায়ীরা। তবে ঋণের চাপে আছেন তাদের অনেকেই। এ জন্য সরকারের সহায়তা চেয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাবসায়ীদের একজন এন এম সিল্ক হাউসের মালিক মো. নুরুন্নবী বলেন, আমার তিনটি দোকানে সাড়ে চার কোটি টাকার মালামাল ছিল। ব্যাংকের ঋণ ছিল সাত লাখ টাকা। ঈদ উপলক্ষে আত্মীয়স্বজন থেকে ৮৫ লাখ টাকা ধার করে দোকানে মালামাল তুলেছিলাম। যাঁদের কাছ থেকে ধার নিয়েছি, তারা হয়তো এক-দুই মাস ধৈর্য ধরবেন। এরপর কেউ মানতে চাইবেন না, টাকা ফেরত চাইবেন। কী করে এ টাকা ফেরত দেব । সরকারের কাছে এই ঋণের ব্যাপারে সহযোগীতা চান তিনি ।
ঈদ উপলক্ষে এই ব্যবসায়ীদের অনেকে বিভিন্ন ব্যাংক, সমিতি ও আত্মীয়স্বজন থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসায় লগ্নি করেছিলেন। সব হারিয়ে ব্যবসায়ীদের কাঁধে এখন ঋণের বোঝা। ঋণের এ বোঝা কীভাবে কমাবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় বেশির ভাগ ব্যবসায়ী। তাদের দাবি সরকারি সাহায্য ছাড়া টিকে থাকার আর কোনো উপায় নেই ।সরকারের পক্ষ থেকে ঋণের বিষয়ে সহযোগীতা চান তারা ।
বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, একেকটি দোকানে গড়ে তিন থেকে পাঁচজন কর্মচারী কাজ করতেন। এসব কর্মচারীর পরিবারও দোকানগুলোর ওপর নির্ভরশীল ছিল। এখন মালিক যেখানে নিঃস্ব, সেখানে কর্মচারীদের দেখবে কে? শুধু যে ব্যবসায়ীরা পথে বসেছেন তা-ই নয়। এসব দোকানের সঙ্গে জড়িত কর্মচারীদের পরিবারও এখন অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে ।
ব্যবসায়ীদের এ ক্ষতি থেকে বাঁচাতে সরকারের পক্ষ থেকে থোক বরাদ্দের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন। তিনি বলেন, বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীদের আর কিছু অবশিষ্ট নেই। এখন সরকারের উচিত, দ্রুত থোক বরাদ্দ দিয়ে এসব ব্যবসায়ীকে পুনর্বাসিত করা। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের ভয় হচ্ছে, এই জায়গায় তাঁরা আর ফিরতে পারবেন না। এই জায়গায় ব্যবসায় ফিরতে না পারলে তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর সব পথ বন্ধ হয়ে যাবে।
তবে বঙ্গবাজারের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা বলছেন, বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সের ভেতর চারটি মার্কেট ছিল। এগুলো হলো বঙ্গবাজার মার্কেট, মহানগর মার্কেট, আদর্শ মার্কেট ও গুলিস্তান মার্কেট। এসব মার্কেটে প্রায় তিন হাজার দোকান ছিল। আগুনে প্রায় সব দোকানই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জেপিনিউজ ২৪ডটকম/শ