বাংলা চলচিত্রের নব্বইয়ের দশকের অন্যতম জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শাবনূর। আজ তার জন্মদিন। ৪৬ বছরে পা দিলেন এই নায়িকা। আগে যেমন রুপালি পর্দায় দাপিয়ে বেড়িয়েছেন শাবনূর। কিন্তু এখন আর আগের মতো পর্দায় দেখা যায় না এই তাকে। তবে অভিনয় জগতে ইতিহাস গড়া শাবনূরকে এখনও ‘আইডল’ মনে করেন অনেক নায়িকারা।
শাবনূর ১৯৭৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। শাবনূরের পারিবারিক নাম ছিল কাজী শারমিন নাহিদ নূপূর। তবে সিনেমার জগতে এসে তার নাম হয়ে যায় শাবনূর। তার শাবনূর নামটি দেন চলচ্চিত্র জগতের বরেণ্য মানুষ এহতেশাম। ১৯৯৩ সালে এহতেশামের পরিচালনায় ‘চাঁদনী রাতে’ সিনেমার মাধ্যমে।
অনেকেরই হয়ত জানা ব্যক্তিগত জীবনে বহু চড়াই উতরাইয়ের ওপরে কেটেছে শাবনূরের। আবেগাপ্লুত হয়ে শাবনূর বললেন, 'দীর্ঘ দেড় যুগের ক্যারিয়ারে যত ঝড়ঝাপটা আমার ওপর এসেছে পৃথিবীর অন্য কোনো শিল্পীকে বোধহয় অতটা করতে হয়নি। প্রথম ছবি 'চাঁদনী রাতে'র প্রযোজক আজিজ মোহাম্মদ ভাই, নায়ক সালমান শাহ, নায়ক রিয়াজ, ফেরদৌস, এক বিদেশি নাগরিককে আমার সঙ্গে জড়িয়ে মিথ্যে সম্পর্কের গুঞ্জন, সালমানের হত্যা/আত্মহত্যার জন্য অভিযুক্ত হওয়া, একাধিকবার এফডিসির বিভিন্ন সমিতি কর্তৃক ব্যান হওয়া, কী ফেস করতে হয়নি আমাকে! একইসঙ্গে পারিবারিক নানা টানাপোড়েনে অতিষ্ঠ ছিল আমার জীবন। অন্য যে কেউ হলে বোধ হয় পাগল হয়ে যেত , সমস্যা ভুলে থাকার জন্য মাদকের আশ্রয় নিত বা আত্মহত্যা করত।
শাবনূরের কথায়, বৈবাহিক জীবনে বিচ্ছেদের পর জীবন নিয়ে তিক্তা শাবনূরের। । হতাশা প্রকাশ করে শাবনূর বলেন, 'আমার আর সংসারী হওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই। বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়া যে কোনো নারীর জন্য ভয়ংকর অভিজ্ঞতা, যে কারণেই বাধ্য হয়ে স্বামীকে ডিভোর্স দিতে হয়েছে।' শাবনূর এও বলেন, 'তবে আমার আর বিয়ের ইচ্ছা না থাকার কারণ হচ্ছে একমাত্র পুত্র আইজানকে প্রতিষ্ঠা করা। সত্যিকারের মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা।'
জেপি/নি-১৭/প