রহিদুল ইসলাম, রাজশাহী:

হঠাৎ জেকে বসেছে শীত। কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে রয়েছে পদ্মা পাড়ের রাজশাহী শহরসহ জেলার বিভিন্ন এলাকা। রাতের আড়মোড়া ভেঙে সবাই যখন চোখ মেলেছে ভোরের আলো তখনও ফোটেনি। দিনভর রাজশাহীর কোথাও কোথাও গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিপাত হওয়ার খবর পাওয়া দেখা গেছে।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৬টার পর রাজশাহীতে সূর্যোদয় হয়েছে। তবে সকাল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। এখনও ঘন কুয়াশার চাদরে মুড়ি দিয়ে আছে পুরো রাজশাহী। ফলে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে এসেছে। আর এ কারণেই বেড়েছে শীতের দাপট।

নিম্ন আয়ের মানুষ রয়েছে চরম দুর্ভোগে। ক্ষতি হচ্ছে ফসলের। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত রোগবালাই।

ঘনকুয়াশা আর হিমেল বাতাসে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে বেকায়দায় পড়ছেন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ ও দিনমজুররা।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ৯ টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১০ টায় ১৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেলা ১১ টায় ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর গড়িয়ে গেলেও এখনো সূর্যের দেখা মেলেনি। তাপ মাত্রা রয়েছে অপরিবর্তিত।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের সহকারী আনোয়ারা খাতুন জানান, দুপুর পর্যন্ত সূর্য না উঠার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দুপুরের পর বিকেলের দিকে সূর্য দেখা দিতে পারে বলেই দেখা মেলেনি সূর্যের।

এদিকে সূর্যের দেখা না মেলায়, রাস্তাঘাটে লোকজনের সমাগম কম দেখা গেছে। কুয়াশা ও সূর্যের লুকোচুরির সাথে সাথে মৃদু বাতাস বইতে থাকায় শিশু ও বৃদ্ধদের বাইরে তেমন দেখা যায়নি। অপরদিকে কর্মজীবী ও স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের চাদর , শুয়েটার, মাফলারসহ মোটা কাপড় পরিধান করে বের হতে দেখা গেছে।

শহর ও হাট-বাজারে লোকজনের উপস্থিতি কমে আসায় প্রয়োজনীয় যাত্রী না পেয়ে অর্থ কষ্টে পড়েছে রিকশা, ব্যাটারি চালিত অটোচালকেরা। শীতে ক্ষতি হচ্ছে ফসলের।

এদিকে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে নিউমোনিয়া, কোল্ড ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট সহ বিভিন্ন রোগ বালাই বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে শিশুরা ভাইরাস জ্বর আর নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে শীতের শুরু থেকেই সাবধানতা অবলম্বন করতে বলছেন চিকিৎসকরা।

জেপি/নি-৯/এমএইচ