আব্দুল্লাহ আল আমিন, রংপুর:
ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানর মধ্যে দিয়ে কর্তৃত্ববাদী আওয়ামী শাসনের পর একটি অন্তবর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। এই সরকারের কাছে জনগণের প্রত্যাশা রাষ্ট্র ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার এরপর একটি অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা অর্পণ করা, জন আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী দেশ এখন সংস্কারের পথে যাত্রা শুরু করেছে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি হলরুমে দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-বাংলাদেশ ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) রংপুর জেলা ও মহানগরের যৌথ আয়োজনে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে।
এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দি হাঙ্গার প্রজেক্ট এর সমন্বয়কারী রাজেশ দে। তিনি বলেন, অন্তবর্তীকালীন সরকার ড. বদিউল আলম মজুমদারকে প্রধান করে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন গঠন, ড. রিয়াজকে প্রধান করে সংবিধান সংস্কার করণ কমিশন, আবুল মুহিত চৌধুরীকে প্রধান করে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, বিচারপতি আবু নাঈম মুমিনুর রহমানকে প্রধান করে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন, ড. ইফতেখারুজ্জামানকে প্রধান করে দুর্নীতি দমন কমিশন এবং সফর রাজ হোসেনকে প্রধান করে পুলিশ সংস্কার গঠন করেন। বর্তমানে আরও ৪টি কমিশন গঠন করেছে সরকার। এগুলো হচ্ছে স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন, শ্রমিক অধিকার সংস্কার কমিশন ও নারী সংস্কার কমিশন গঠন। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য ১১ দফা দাবি সম্মিলিত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উল্লেখ করা হয়।
এসময় নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার, বাংলাদেশে নির্বাচনের ব্যবস্থা ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা, সংবিধান সংস্কার, জনপ্রশাসন সংস্কার, বিচার বিভাগ সংস্কার, দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার, পুলিশ প্রশাসন সংস্কার, স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্কার, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন, গণমাধ্যমের ভূমিকা এত গুরুত্বপূর্ণ যে রাষ্ট্রের চতুর্থ অঙ্গ বলা হয়ে থাকে। গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠানিকীকরণসহ একটি স্বচ্ছতা, জবাবদিহিমূলক গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, শ্রমিক অধিকার, নারী সংস্কার কমিশন, স্থানীয় সরকার কমিশনসহ গুরুত্বপূর্ণ দফাগুলো নিয়েও আলোচনা করা হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন এনটিভি’র রংপুর প্রতিনিধি এ.কে.এম ময়নুল হক, বাংলা ভিশনের রংপুর প্রতিনিধি জুয়েল আহমেদ, মাহিগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি বাবলু নাগ, সুজন জেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন, মহানগর সুজন সভাপতি অধ্যক্ষ ফকরুল আনাম বেঞ্জু, জেলা সুজনের যুগ্ম সম্পাদক গোলাম সাজ্জাদ হায়দার স্বাধীন, প্রচার সম্পাদক আসাদুজ্জামান আফজাল প্রমুখ।
উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীরা দ্রুত ১১ দফা বাস্তবায়ন, সুষ্ঠু নির্বাচনের কর্মকর্তা, পুলিশ প্রশাসন ও দলীয় বাহিনীকে ব্যবহার না করা এবং সংবাদ পত্রের স্বাধীনতার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
জেপি/নি-১৯/এমএইচ