প্রতিনিধি, চিলমারী (কুড়িগ্রাম):

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ষাটোর্ধ্ব নারীকে মারধরের ঘটনায় যুবদল নেতা রেজাউল করিম ও তার অনুগত ইসমাইল গংয়ের হামলা ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নারীপুরুষের অংশগ্রহণে উপজেলার পাম্প মোড় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে উপজেলার পরিষদ চত্বরে গিয়ে মানববন্ধনে রূপ নেয়। এরপর সেসময় ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে স্থানীয় নারী-পুরুষ বক্তব্য রাখেন।

এসময় ভুক্তভোগী নারীর ছেলে হাফিজুর বলেন, গত শনিবার রাতে যুবদল নেতা রেজাউল করিম রাস্তা আটকিয়ে আমার মাকে মারধর করে।যার কারণে থানায় মামলা দেওয়া হয়েছে। তবে মামলাটি এখনো রুজু হয়নি।থানায় মামলা দেওয়ার কারণে আমাদের বিভিন্ন সময় হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে। তাই আজ এলাকাবাসী এই মানববন্ধনের ডাক দিয়েছে।

স্থানীয় আকলিমা বেগম বলেন, এক নারীকে মারধর করা মানে সকল নারীকে মারধর করা। বিএনপির এই নেতা রেজাউল করিম ও ইসমাইল হোসেন এর বিচার চাই। আমাদের কোন নিরাপত্তা নাই, আমরা নিরাপত্তা চাই।

এ বিষয়ে চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথ বলেন, ওনারা যেভাবে অভিযোগ দিয়েছে তাতে মামলা হয় না। পরে আমরা সেটি কোর্টে পাঠিয়েছি। এখন কোর্ট থেকে অনুমতি আসলে মামলা হবে।

উল্লেখ্য, গত রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে থানায় যুবদল নেতা সব কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল হয়।

অভিযুক্ত ওই যুবদল নেতার নাম রেজাউল করিম। তিনি উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক।অন্যরা হলেন- আমিনুল ইসলাম (৪৫), মিজানুর রহমান (৩৮), ইসমাইল হোসেন (৩০)। গত শনিবার বিকেলে উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের মজিদের পাড় এলাকায় ষাটোর্ধ্ব নারীকে মারধরের ওই ঘটনা ঘটে। 

ভুক্তভোগী ওই নারীর নাম মালেকা বেগম (৬৫)৷ তিনি ওই এলাকার শহীদুল ইসলামের সহধর্মিণী।

ভুক্তভোগী মালেকা বলেন, আমি আমার ছেলেকে খুঁজতে পাম্পের মোড়ে গিয়েছিলাম। বাড়ি ফেরার পথে রেজাউল আমার পথ রোধ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে সে আমাকে ধাক্কা মারলে পাশে থাকা বেঞ্চ এর উপর পরে যাই। এরপর সে আমার গালে চড়-থাপ্পড় মারতে থাকে। এসময় আমার ছেলে ও ছেলের বউ এগিয়ে আসলে তাদেরও চর থাপ্পড় মারতে থাকে। পরে স্থানীয়রা আমাকে, আমার ছেলে ও ছেলের বউকে রেজাউল এর হাত থেকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেয়।

জেপি/নি-১১/এমএইচ