আব্দুল্লাহ আল আমিন, রংপুর:

রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার ৭নং লতিবপুর ইউনিয়নের পাইকান এলাকায় মৃত আব্দুল ওয়াহেদ’র পুত্র রহমতুল্ল্যাহর নামে তফশিলকৃত জমি জোর পূর্বক দখল করার সময় বাঁধা দেয়ায় তিনিসহ তার দুই ভাইয়ের ওপর হামলা চালানো অভিযোগ উঠেছে, পরে চিকিৎসা নিয়ে থানায় মামলা। সরেজমিনে জানা যায়, পূর্বে জমিজমা সংক্রান্ত বিবাদের জেরে উভয় পক্ষের মামলা হয়, এরই মাঝে পেশি শক্তি ব্যবহার করে আবারো ঐ জমির উপর স্থাপনা নির্মাণের কার্যক্রম চালালে রহমতুল্ল্যাহ উপস্থিত হয়ে কাজে বাঁধা প্রদান করলে ঘটে হামলার ঘটনা।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, একই এলাকার আব্দুর রাজ্জাক, হান্নান মন্ডল, মান্নান মন্ডল, সিয়াম মন্ডল, রাসেল মিয়াসহ আরো কয়েকজন রহমতুল্ল্যাহ নামে তফশিলকৃত ভোগ দখলীয় জমির উপর রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে মাদ্রাসার ঘর তৈরির জন্য প্রস্তুতি নিয়ে কাজ শুরু করে। এমন সময় জানতে পেরে রহমতুল্ল্যাহ তাঁর ভাই নিয়ামতুল্ল্যাহ ও আলামতুল্ল্যাহসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিজের জমির ওপর স্থাপনা নির্মাণের বাঁধা প্রদান করলে আকস্মিক তাদের উপর হামলা করে। এতে করে উপস্থিত তিন ভাই গুরুত্বর আহত হলে সেখানে উপস্থিত লোকজন তাদের উদ্ধার করে মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান।

জানতে চাইলে মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত ডা. সায়মা আক্তার বলেন, একজনের মাথা ফেটে যাওয়াসহ বাকি দুজনের শরীরের বিভিন্ন অংশ জখমের ক্ষত নিয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আসলে তাদের তাৎক্ষণিক প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা দিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে আব্দুর রাজ্জাকসহ কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, এখানকার জমিগুলোন আমাদের পারিবারিক জমি আমরা সকলে মিলে মাদ্রাসায় দান করেছি।

এদিকে ভুক্তভোগী রহমতুল্ল্যাহ বলেন, আমার পৈত্রিক সম্পত্তি যার তফশিল জেলা-রংপুর, উপজেলা-মিঠাপুকুর, মৌজা-বলদিপুকুর যাহার জেএল নং-১৫৪, এস এ খতিয়ান নং-৪৭২, আরএস খতিয়ান নং-২৩২ আরএস দাগ নং-২৫৯২, জমি ৩৬ শতাংশের মধ্যে ১৫ শতক তন্মধ্যে ৬.৮৭ শতক আমার এই জমি তারা জোর পূর্বক মাদ্রাসায় দিতে চায়, এ ব্যাপারে উভয় পক্ষের মামলা আদালতে বিদ্যমান রয়েছে। তারপরও তারা হঠাৎ জমি দখল করার জন্য উঠে পরে লেগেছে। জমিতে তারা স্থাপনা নির্মাণ করতে চাইলে আমি আমার দুভাইসহ বাঁধা প্রদান করলে তারা আমার এবং আমার ভাইদের ওপর আকস্মিক হামলা চালায়। একে আমরা তিনভাই গুরুতর আহত হয়ে পড়লে সেখানে উপস্থিত এলাকাবাসী আমাদের উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। পরে আমি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে অসুস্থ শরীরে বাধ্য হয়ে বাদী হয়ে মিঠাপুকুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছি। উক্ত বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ন্যায় বিচার কামনা করছি।

এ ব্যাপারে মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফেরদৌস আলী জানান, অভিযোগ পেয়েছি। একজন এসআইকে দায়িত্ব দিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জেপি/নি-৯/প