মানসম্মত পাবলিক পরীক্ষার পদ্ধতির জন্য শিশুদের ভীতি দূর হয়েছে: গৃহায়ন মন্ত্রী

প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া:

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, মেধাবৃত্তি পরীক্ষার মাধ্যমে আমরা পরীক্ষা পদ্ধতির একটি মানোন্নয়ন দাঁড় করিয়েছি। এখানে কাউকে বলতে হয়না তোমরা কেউ নকল করবা না। এমনিতেই তারা নকল করে না। এখানে ছোট যে বাচ্চা ক্লাশ ওয়ানে পড়ে সে এসেও পাবলিক পরীক্ষার মত পরীক্ষা দিচ্ছে। আনন্দঘন পরিবেশে পরীক্ষা দিয়ে শিশুদের মন থেকে পরীক্ষা ভীতি দূর হচ্ছে। 

শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চিনাইর শিশু মেধাবৃত্তি ফাউন্ডেশন আয়োজিত ১৯তম শিশু মেধা বৃত্তি ও শিশু মেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

চিনাইর মেধাবৃত্তি ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ফাহিমা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মেধাবৃত্তি প্রদান ও শিশু মেলা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন প্রমুখ।

তিনি শিক্ষাবিদদের পাবলিক পরীক্ষা বন্ধের পরামর্শ দেওয়ার সমালোচনা করে বলেন, বড় বড় শিক্ষাবিদদের সংকীর্ণ মানসিকতার কারণে পঞ্চম ও ৮ম শ্রেণীর পরীক্ষা উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে মনে করেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। তিনি হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, এখন তো আর পাবলিক পরীক্ষা নেই। সরকার বা বড় শিক্ষাবিদরা কেন এই পরীক্ষা উঠিয়ে দিয়েছে তা বোধগম্য নয়।

তিনি মনে করেন, বড় শিক্ষাবিদদের সংকীর্ণ মানসিকতা এবং গ্রামের লোকদের সাথে প্রতিযোগিতায় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো হেরে যাওয়ার কারণেই ৫ম ও ৮ম শ্রেণীর পরীক্ষা উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যাশা এই মেধাবৃত্তি পরীক্ষার মধ্যদিয়ে আগামীদিনে নতুন প্রজন্ম মেধাদীপ্ত হয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে উঠবে।

আয়োজকরা জানান, অতিথিরা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২৪৩ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে ৬ লাখ ৪২ হাজার টাকা মেধাবৃত্তি প্রদান করেন। এর মধ্যে বছর প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণীর ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পাওয়া ৮৭ জন শিক্ষার্থীর প্রত্যেককে ৩ হাজার টাকা ও সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পাওয়া ১৫৬ জন শিক্ষার্থীর প্রত্যেককে এককালীন আড়াই হাজার টাকা, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।

জেপি/নি-২৫/প