মিয়ানমারের ডিলারের কাছে ‘মানুষ বন্ধক’ রেখে বাংলাদেশে ইয়াবার চালান পাচার করা টেকনাফের জাকির আহমেদ জকির নামের এক ইয়াবা কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

মঙ্গলবার (১৬ মে) দিবাগত মধ্যরাতে কক্সবাজারের ঈদগাঁও ইউনিয়নের আল মাছিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসার পাশের রাস্তা থেকে এক সহযোগীসহ তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১৫। এসময় তাদের কাছ থেকে ৪০ হাজার পিস ইয়াবাও উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত ইয়াবা ব্যবসায়ী জাকির আহমেদ জকির (৩৯) টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাজমপাড়া এলাকার মৃত সালেহ আহমদের ছেলে। গ্রেপ্তারকৃত সহযোগী মো. ইসমাইল (৩৫) একই এলাকার নুরুল বশরের ছেলে। জকিরের নামে টেকনাফ থানায় ৫টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

র‌্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী জানিয়েছেন, গত ১৫ জানুয়ারি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জসিম নামক একজন বাংলাদেশি নাগরিককে মিয়ানমারের ইয়াবা ডিলার কর্তৃক নির্যাতনের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। উক্ত ভিডিওতে জসিম নিজেই টেকনাফ হাজমপাড়ার সালেহ আহমদের ছেলে জকির নামক ইয়াবা কারবারির কথা জানায়। জসিম জানায়, তাকে মিয়ানমারের ইয়াবা ডিলারের কাছে বন্ধক রেখে ২৫ লাখ টাকার ইয়াবা নিয়ে আসে জকির।

পরবর্তীতে টাকা পরিশোধ না করায় ইয়াবা ডিলাররা জসিমকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন শুরু করে। ভিডিওটি র‌্যাবের নজরে আসার পর র‌্যাব-১৫ গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধিসহ অভিযান অব্যাহত রাখে। ভিডিও প্রকাশের পরপরই সংশ্লিষ্ট মাদক কারবারিরা আত্মগোপনে চলে যায়।

তবে গোপত তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব জানতে পারে জকির মিয়ানমার থেকে ইয়াবার চালান নিয়ে চৌফলদন্ডি নৌ ঘাট দিয়ে ঈদগাঁওতে ইয়াবার চালান পৌঁছে দেবে। এই তথ্য পাওয়ার পর র‌্যাব-১৫ মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে ওই এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে। এসময় দুজন ব্যক্তি এক সিএনজি থেকে নেমে পালানোর চেষ্টা করলে তাদের ধাওয়া করে ধরে ফেলে র‌্যাব। পরে তাদের কাছ থেকে ৪০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

টেকনাফ ও উখিয়া থানা এলাকার ইয়াবা গডফাদার এবং তার সহযোগীদের সহায়তায় বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন লোককে সীমান্তবর্তী মিয়ানমার এলাকায় বন্ধক রেখে ইয়াবার বড় বড় চালান নিয়ে আসে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জানিয়েছে জকির। এ ব্যাপারে মামলা করে দুজনকে কক্সবাজার সদর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী।

জেপি নিউজ ২৪ ডটকম/ডেস্ক