জেপি নিউজ ২৪ ডটকমঃ
কক্সবাজারে আদালত চত্বর থেকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মিথ্যা মামলা করায় বাদী রুনা আক্তারকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ২০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে তাকে।
বুধবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা করার দায়ে কক্সবাজারের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. মুসলেম উদ্দীন এই রায় দেন। এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি আদালতের নির্দেশে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী রুনা আক্তার কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদ আউলিয়াবাদ এলাকার শফিকুল ইসলামের মেয়ে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের মার্চে কক্সবাজার আদালত চত্বর থেকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ করে একটি মামলা করেন রুনা আক্তার। পরে মামলাটি আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় সব আসামিকে খালাস প্রদান করা হয়।
মামলা থেকে খালাস পেয়ে ওই মামলার আসামিদের একজন রাসেল উদ্দিন বাদী হয়ে রুনার বিরুদ্ধে আদালতে হয়রানির অভিযোগ এনে পাল্টা মামলা করেন। এ মামলায় ১৫ ফেব্রুয়ারি রুনা আকতারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আদালত রুনাকে কারাগারে পাঠিয়ে বিচারকার্য শুরু করেন। বুধবার মামলাটির রায় দেওয়া হয়।
পুলিশের দাখিলকৃত চূড়ান্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, প্রধান আসামি ফিরোজ আহমদ বাদী রুনা আকতারের স্বামী। মামলার অন্যান্য আসামিরা (রাসেল উদ্দিন, মো. শরীফ ও নুরুল ইসলাম) প্রধান আসামি ফিরোজ আহমদের বন্ধু ও নিকটাত্মীয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কক্সবাজারের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এপিপি বদিউল আলম জানান, রুনা আকতারের দায়ের করা ধর্ষণ মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আসামীদের খালাস দিয়ে মামলাটি খারিজ করে দেন। কিন্তু ইতোমধ্যে এই মামলায় আসামীরা দীর্ঘদিন জেল খেটেছেন। তাই ক্ষুব্ধ হয়ে আসামীদের একজন হয়রানির অভিযোগে একটি মামলা করেন। ওই মামলাটি স্বল্প সময়ের মধ্যে বিচারিক কার্যক্রম সম্পন্ন করে রায় দিয়েছেন আদালত।
রায়ে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামী রুনা আকতারকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি আদালতের নির্দেশে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জেপি/নি-১৩/ডেস্ক